Dragon Movie Review: অশ্বথ মারিমুথুর পরিচালনায় প্রদীপ রঙ্গনাথনের লেখা ‘Dragon’ মুভিটি Middle-Class যুবকদের জীবন সংগ্রাম, স্বপ্ন এবং বাস্তবতার এক অনবদ্য চিত্রায়ণ। বেকারত্ব, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব এবং অস্তিত্বের লড়াইয়ে জর্জরিত আজকের যুবসমাজের জন্য এই মুভিটি এককথায় অনবদ্য। প্রদীপ রঙ্গনাথন, যিনি ‘লাভ টুডে’ মুভির মাধ্যমে নিজেকে মধ্যবিত্ত যুবকদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, ‘ড্রাগন’ মুভিতেও তিনি একই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন।
প্রদীপ রঙ্গনাথনের লেখা গল্প এবং অশ্বথ মারিমুথুর পরিচালনায় ‘ড্রাগন’ মুভিটি বাণিজ্যিক সিনেমার সমস্ত উপাদানকে সঠিকভাবে ব্যবহার করেছে।
‘ড্রাগন’ মুভিতে প্রদীপ রঙ্গনাথন ‘ডি. রাগবন’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি একজন বেকার যুবক এবং তার বন্ধুদের উপর নির্ভরশীল। রাগবন তার বাবা-মাকে চাকরি করার মিথ্যা গল্প বলে এবং তার বর্তমান প্রেমিকা কীর্তি (অনুপমা পরমেশ্বরন) তার অলস এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের জন্য তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে। অন্যদিকে রাগবন তার প্রেমিকার কাছে নিজের মূল্য প্রদর্শন করার জন্য একটি অসাধু পথ বেছে নেয়।
রাগবনের চরিত্রের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত যুবকদের জীবনের একটি বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। তিনি তার প্রেমিকার কাছে নিজের সাফল্য মাপতে চান এবং মনে করেন যে সম্পর্ক ছাড়া তার জীবন অর্থহীন। উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রেমিকার প্রত্যাখ্যান তাকে গভীরভাবে আঘাত করে, কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্সে তার সোনার পদক এবং ৯৬% জিপিএ তার কাছে কোনো মূল্য বহন করে না। কলেজে তিনি ‘ড্রাগন’ নামে পরিচিত হন, একজন টাইপিক্যাল তামিল সিনেমার ‘কলেজ ডন’। কিন্তু তার প্রিন্সিপাল ময়িলভাহননের (মিসকিন) সাথে দ্বন্দ্বের কারণে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি ছেড়ে দেন।
কীর্তির সাথে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর রাগবন তার ভুল প্রমাণ করার জন্য সফল হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এবারও তিনি একটি অসাধু পথ বেছে নেন এবং একটি চাকরি পেয়ে যান। এই চাকরি তাকে অকল্পনীয় সাফল্য এবং সম্পদ এনে দেয়। তিনি পল্লবী (কায়াদু লোহার) নামে এক মিষ্টি মেয়ের সাথে বাগদানও করেন। কিন্তু তার অসাধু পথ তাকে সমস্যায় ফেলে এবং তার সম্পর্ক, চাকরি এবং পরিবার সবকিছুই ধ্বংসের মুখে পড়ে।
Dragon Movie ডিটেইলস
- পরিচালক: অশ্বথ মারিমুথু
- কাস্ট: প্রদীপ রঙ্গনাথন, অনুপামা পরমেশ্বরন, মিসকিন, কায়াদু লোহার
- রানটাইম: ১৫৭ মিনিট
- গল্প: একজন যুবকের অসাধু পথে সফল হওয়ার চেষ্টা তাকে সমস্যায় ফেলে এবং তার জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়।
‘ড্রাগন’ মুভিটি প্রদীপ রঙ্গনাথনের অভিনয় এবং গল্প লেখার দক্ষতার আরেকটি প্রমাণ। এটি মধ্যবিত্ত যুবকদের জীবনের সংগ্রাম, স্বপ্ন এবং বাস্তবতার এক অনবদ্য চিত্রায়ণ। মুভিটি আজকের যুবসমাজের জন্য একটি প্রয়োজনীয় গল্প বলে মনে হচ্ছে এবং প্রদীপ রঙ্গনাথনকে মধ্যবিত্ত যুবকদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে।
কীভাবে ‘Dragon Movie’ যুবকদের জীবনের প্রতিচ্ছবি?
‘ড্রাগন’ মুভিটি আজকের যুবকদের জীবনের একটি বাস্তব চিত্র। এটি দেখায় কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া এবং সমাজের চাপ যুবকদের জীবনে প্রভাব ফেলে। মুভিটি যুবকদের তাদের স্বপ্ন এবং বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি বার্তা দেয়।
শেষ কথা
‘ড্রাগন’ মুভিটি প্রদীপ রঙ্গনাথনের অভিনয় এবং গল্প লেখার দক্ষতার আরেকটি প্রমাণ। এটি মধ্যবিত্ত যুবকদের জীবনের সংগ্রাম, স্বপ্ন এবং বাস্তবতার এক অনবদ্য চিত্রায়ণ। মুভিটি আজকের যুবসমাজের জন্য একটি প্রয়োজনীয় গল্প বলে মনে হচ্ছে এবং প্রদীপ রঙ্গনাথনকে মধ্যবিত্ত যুবকদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সাহায্য করবে।
এই মুভিটি দেখে আপনি আপনার জীবনের সংগ্রাম এবং স্বপ্নের সাথে নিজেকে তুলনা করতে পারবেন। ‘ড্রাগন’ মুভিটি আপনার মনে দাগ কাটবে এবং আপনাকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে।