টিকটক কেনার লড়াইয়ে মাইক্রোসফট: টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে জল্পনা। মাইক্রোসফট চিনা মালিকানাধীন এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিনে নিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মন্তব্যের ফলে টেক দুনিয়ায় নতুন ভাবে শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে।
টিকটকের বিরুদ্ধে আমেরিকার আপত্তি
আমেরিকার মাটিতে টিকটকের ব্যবসা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলে টিকটকের মালিকানা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে আমেরিকা। টিকটকের মূল সংস্থা বাইটডান্স চিনা মালিকানাধীন হওয়ায় আমেরিকা মনে করছে, এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
বাইটডান্স যদি তাদের শেয়ার কোনও মার্কিন সংস্থার কাছে বিক্রি করে, তবে টিকটক আবারও আমেরিকার বাজারে ফিরতে পারে। ট্রাম্পের সময়ে এই বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল, যা বাইডেনের শাসনামলেও প্রাসঙ্গিক থেকেছে।
টিকটক কেনার লড়াইয়ে মাইক্রোসফট?
2020 সালেই বাইটডান্স মাইক্রোসফটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। যদিও তখন চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। এমনকি অরাক্যালের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছিল, তবে সেখানেও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি।
সম্প্রতি ট্রাম্পের মন্তব্যের ফলে মাইক্রোসফটের নাম আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। অনেকেই মনে করছেন, মাইক্রোসফটের মতো প্রথম সারির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টিকটক কিনে নিলে এই প্ল্যাটফর্ম আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে এবং আমেরিকা, চিনা মালিকানার প্রভাব থেকে মুক্ত হবে।
ট্রাম্পের অবস্থান
ট্রাম্প সরাসরি বাইটডান্সকে তাদের শেয়ার বিক্রির জন্য চাপ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বড় বড় মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে নিলামের মাধ্যমে এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বিক্রি হওয়া উচিত। তাঁর মতে, এই পদক্ষেপ আমেরিকার প্রযুক্তি জগতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
ভবিষ্যতের সম্ভাবনা
টিকটক কি সত্যিই আমেরিকার মাটিতে থেকে যাবে মাইক্রোসফটের হয়ে? মাইক্রোসফট কি শেষমেশ এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিনে নেবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর সময়ই বলে দেবে। তবে এক কথা নিশ্চিত, টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন টেক দুনিয়ায় চরম আলোচনা চলছে।
শেষ কথা
টিকটক একটি জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। তবে জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে এই অ্যাপ নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তা প্রযুক্তি দুনিয়ায় এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মাইক্রোসফট কি এই বিতর্কের সমাধান করবে? আপাতত গোটা দুনিয়া এর উত্তর জানতে অপেক্ষায়।